সুন্দরবনকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে জলদস্যু মুক্ত করতে সময় লেগেছে ১০ বছরের কাছাকাছি এবং এই কাজের নেপথ্যে অন্যতম আবদান রেখেছেন যমুনা টিভির সাংবাদিক মহসিন উল হাকিম। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দুর্গম বনে গিয়ে ডাকাতদের বোঝাতে পেরেছিলেন এবং আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন। বিনিময়ে বছরখানেক আগে ভারত সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত “শ্রেষ্ঠ বাঙালি পুরস্কার” তার হাতে উঠেছিল কারণ সুন্দরবনের একটা বড় অংশ ভারতেও অবস্থিত। উনি একটা বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে মানুষ চাইলে যেকোন জায়গায় যেকোন বিষয় নিয়ে কাজ করে তার আদর্শ/চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে পারে এবং মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। ঢাকার বিলাসী জীবন ছেড়ে প্রায় এক যুগ সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত করতে ভূমিকা রাখার পর বর্তমানে জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন, জেলেরা আগের থেকে মাছের দাম অনেকাংশে বেশি পাচ্ছে। মৎস আড়ৎদার ও দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙার ক্ষেত্রেও কাজ করে যাচ্ছেন। এসব কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অন্যান্যদের দায়িত্ব এসব ভেবে বসে থাকেন নি, দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং সফল হয়েছেন। আমাদের সমাজের মাদক ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে ডাকাতদের মত করে স্বাভাবিক জীবনের ফিরিয়ে আনার জন্য যমুনা টিভির সাংবাদিককে আদর্শ মেনে কাজ করার জন্য নিকটস্থ দুইজন সাংবাদিককে অনুরোধ করেছিলাম। প্রথমদিকে তাদেরকে অনেক সাহসী মনে হতো তাই অনুরোধ করা। সাংবাদিক মহাশয় আমাকে বললেন, “ভাই আপনাদের এলাকায় মাদকের সমস্যা আপনাদের বিষয় এবং এই রিপোর্ট/কাজ না করলে তো আমাদের চাকরি চলে যাবে এমন না, তাহলে আপনারা একটা কাজ করেন, মানববন্ধনের ব্যবস্থা করেন, আমরা চার-পাঁচজন মোটরসাইকেল নিয়ে যাব মানববন্ধনের ছবিটা পত্রিকায় পাঠাবো, আমাদের যাতায়াতসহ সমস্ত খরচ আপনারা বহন করবেন।” মহসিন উল হাকিম আর আমার এই পরিচিত সাংবাদিক দুজনকে যখন মিলাতে চাই তখন পেশাগত মর্যাদা নিয়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।
-আমিনুল ইসলাম, তেলিনা, আজগানা।