টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছিনতাই করার সময় দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার পর গতকাল সোমবার ওই পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যরা হলেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের রিপন রাজবংশী (২৮) ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মো. মহসিন মিয়া। তাঁরা দুজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার রাতে ঢাকার সাভারের বাইপাইল এলাকায় আনারস নামিয়ে পিকআপ ভ্যান নিয়ে টাঙ্গাইলে ফিরছিলেন মধুপুর উপজেলার মমিনপুর গ্রামের রানা মিয়া। তখন পিকআপটি দেখে থামানোর সংকেত দেন দুই পুলিশ সদস্য। ধেরুয়া ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর চালক পিকআপটি থামান। তখন চালকের সহকারীর কাছে জাল টাকা থাকার অভিযোগ তুলে তাঁরা গাড়ি থেকে নামান। পরে মামলার ভয় দেখিয়ে সাড়ে ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ সময় পিকআপের চালক ও সহকারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, পরে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মির্জাপুর থানায় নেওয়া হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় পিকআপচালক রানা মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় গতকাল টাঙ্গাইলের আদালত তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে থানা-পুলিশ ওই ব্যক্তিদের থানায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মির্জাপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাল বুধবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানা থেকে ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ বিভাগ কারও দায় নেবে না। যিনি যে ধরনের অপরাধ করবেন, তিনি সেই অপরাধের শাস্তি ভোগ করবেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’