মির্জাপুরের খবর ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পানির অভাবে গবাদিপশু পালন ও সংসারের কাজকর্মও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, পানির স্তর নিচে নামার কারণে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। তবে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। গত মার্চ মাস থেকেই পানি ওঠা কমে যায়। আর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে এই সমস্যা তীব্র হতে শুরু করেছে। পানি সংকটের কারণে সামর্থ্যবান অনেকেই বাড়িতে মোটর বসিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলা বহুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অনেকে টিউবওয়েলের সঙ্গে মোটর বসিয়েছেন। তবে সেখানেও পানির দেখা মিলছে না।
বহুরিয়া গ্রামের জুলহাস বয়াতি বলেন, গত দেড় মাস ধরে পানির সমস্যা। বর্তমানে টিউবওয়েলে পানি উঠে না! এখন দূরের একটি স্যালো মেশিন থেকে পানি এতে খেতে হচ্ছে।
উপজেলার চান্দুলিয়া গ্রামের অবস্থাও একই। গ্রামটির অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। পানির সংকটের কারণে সংসারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।
চান্দুলিয়া গ্রামের মেহের আলী বলেন, এক জগ পানি তুলতে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগে। আশপাশের পুকুর ও খালেও পানি নেই। এমন অবস্থায় আমরা খুব কষ্টে আছি।
মির্জাপুর বাজার, পোষ্টকামুরী, উয়ার্শী, রোয়াইল, বাইমহাটি, দেওহাটা, গোড়াই, সাহাপাড়া, কুমারজানি, পাহাড়পুর, কুতুববাজার, বুড়িহাটি এসব এলাকা ঘুরেও দেখা যায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অনেক টিউবওয়েল একদমই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিন জানান, সারাদেশেই পানির সংকট। পানির স্তর ৩০ ফুটের বেশি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এজন্য আমরা এখন টিউবওয়েল আর সাবমার্সিবল মোটর বরাদ্দ দিচ্ছি। বৃষ্টিপাত না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।