ড. মনীন্দ্র কুমার রায়: দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। সংক্ষেপে যাকে সবাই এক নামে জানে আরপি সাহা। একজন সংগ্রামী, আত্মপ্রত্যয়ী মানবসেবক। দরিদ্র থেকে দানবীর খেতাবে এখন যিনি এশিয়াখ্যাত। তিথি অনুযায়ী মানবতা রোধের উজ্জ্বল এ নক্ষত্রের জন্ম ১৮৯৬ সালের উত্থান একাদশীতে। ঢাকার অদূরে সাভারের কাছুরে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লৌহজং নদীবিধৌত নিভৃত পল্লীর মির্জাপুর গ্রামে। মাতার নাম কুমুদিনী সাহা, পিতার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা।
মাত্র সাত বছর বয়সে বিনা চিকিৎসায় মা কুমুদিনী সাহার মৃত্যুর পর দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন আর্থিক সচ্ছলতা পেলে চিকিৎসা বঞ্চিত হতদরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করবেন।
মায়ের মৃত্যুর পর বাবা দেবেন্দ্রে নাথ সাহা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দারিদ্র্যের কঠোর কষাঘাত আর সৎ মায়ের অবহেলা নিয়ে অনাদরে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেন রণদা। অভাবের তাড়নায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে খাবার চেয়ে খেয়েছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিনমজুরের কাজ করেছেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ভবিষ্যৎ গড়ার আশায় পাড়ি জমান কলকাতায়। সেখানে বেঙ্গল এম্বুলেন্স কোরে যোগদান করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ৩৮ জন সেনাসদস্যকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে বীরত্বগাথা ভূমিকার জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসা অর্জন করেন। এরপর পরিচয় হয় জর্জ ভি নামে এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তার মাধ্যমে তিনি রেলওয়ে বিভাগে টিটিইর চাকরি নেন। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাকরিটিও হারান।
কম বয়সে আয় করা কিছু টাকা জমিয়ে ১৯৩২ সালে তিনি কলকাতাতে প্রথমে লবণ ও পরে কয়লার ব্যবসা শুরু করেন। এ ব্যবসা থেকেই ধীরে ধীরে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ব্যবসায় কিছুটা সফল হওয়ার পর তিনি বেঙ্গল রিভার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করেন। এরপর নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাতে তিনটি পাওয়ার হাউজ ক্রয় করেন। নারায়ণগঞ্জে জর্জ এন্ডারসন কোম্পানির পাটের বেল তৈরি করেন। পরবর্তী সময় তিনি লেদার ব্যবসা শুরু করেন। এভাবে তিনি জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ এলাকা মির্জাপুরে ফিরে আসেন। ছেলেবেলার সংকল্পের কথা স্মরণ করে ১৯৩৮ সালে তিনি মির্জাপুর গ্রামের লৌহজং নদীর তীর ঘেঁষে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল কুমুদিনী হাসপাতালে রূপ নেয়। দারিদ্র্যের কষাঘাতে নিজে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হলেও নারী শিক্ষার জন্য তিনি কুমুদিনী চত্বরের ভেতরেই ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভারতেশ্বরী হোমস। প্রতিষ্ঠা করেন কুমুদিনী নার্সিং স্কুল। তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ, মানিকগঞ্জে দেবেন্দ্রনাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা, মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মির্জাপুর এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। জীবনসংগ্রামে প্রতিষ্ঠা পেয়ে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হলেও তিনি ভোগ বিলাসে ব্যয় করেননি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তার জীবনের অর্জিত সব অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল। এ ট্রাস্টের মাধ্যমেই তার নাতি কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা মির্জাপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী মহিলা মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফট।
লোকহিতৈষী রণদা প্রসাদ: রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন লোকহিতৈষী মানবতাবাদী ও দানবীর। সংস্কৃতির দিকেও তার ছিল বড় ঝোঁক। তিনি প্রায়শই কুমুদিনী চত্বরের আনন্দ নিকেতনে যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। যাতে তিনি নিজেও অভিনয় করতেন।
১৩৫০ সালের ভয়াবহ মন্বন্তরের সময় তিনি লঙ্গরখানা খুলেন। ওই সময় সেখানে হাজার হাজার দরিদ্র লোক প্রতিদিন খাবার খেত। ’৭১-এর ৭ মে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য ও তাদের এদেশীয় দোসররা রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে তাদের নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। আজ অবধি তাদের কোন খোঁজ মেলেনি।
এই পৃথিবীতে কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ জন্মগ্রহণ করেন, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও কীর্তির মাধ্যমে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। এমনই একজন ছিলেন বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর গ্রামের রণদা প্রসাদ সাহা।
রণদা প্রসাদ সাহা ইংরেজি ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত সাভারের অদূরে শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাছৈড় গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা দেবেন্দ্র পোদ্দার, নিবাস টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর গ্রামে আর মাতা কুমুদিনী দেবী। তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ ছিলেন দ্বিতীয়।
দলিল লেখক বাবার আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। বড় ভাই মদন সাহা থাকতেন মামাবাড়িতে। ছোট ভাই ফণীকে মাত্র দুই বছর বয়সে মহেড়ার জমিদারকে পুষ্যি দেওয়া হয়। আর ছোট বোন মরণ দাসীকে মাত্র আট বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়।
রণদা প্রসাদের সাত বছর বয়সে মা কুমুদিনী দেবী সন্তান প্রসবের সময় ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায়, বিনা পথ্যে, অযত্নে-অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যু রণদা প্রসাদের মনে গভীর রেখাপাত করে। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যদি কখনো সম্পদশালী হন মায়ের নামে একটি দাতব্য প্রসূতি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবেন, যাতে কোনো মা সন্তান প্রসবের সময় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ না করেন।
বাবা দেবেন্দ্র পোদ্দার দ্বিতীয় বিয়ে করার পর রণদাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মামাবাড়িতে। মাত্র ১১ বছর বয়সে মামাবাড়ি থেকে পালিয়ে যান। একদিন রণদা প্রসাদ ক্ষুধার যন্ত্রণায় এক বনের ধারে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। ওই সময়ে মুক্তাগাছার জমিদার রাজা জগৎ কিশোর চৌধুরী সেই বনে শিকার করতে আসেন এবং অচেতন অবস্থায় রণদা প্রসাদকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মুক্তাগাছার জমিদারবাড়িতে কয়েক বছর অবস্থান করে রণদা জমিদারবাড়ির লোকজনের চাল-চলন, আচার-ব্যবহার এবং শিল্প-সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে পরিচিত হন, পরবর্তী জীবনে যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। ১৯১০ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভাগ্যান্বেষণে তৎকালীন ভারতবর্ষের রাজধানী কলকাতায় আসেন। এ সময়ে অনেক বাঙালি যুবকের মতো রণদা প্রসাদ স্বদেশি আন্দোলনের সশস্ত্র ধারায় জড়িয়ে পড়েন এবং ধরা পড়ে হাজতবাসও করেন।
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ভারতবর্ষকে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই যুদ্ধে ইংরেজকে সাহায্যের জন্য ভারতবাসীকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। রণদা প্রসাদ সাহা ১৯১৫ সালে ইংরেজদের পক্ষে প্রথমে ‘বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোরে’ এবং পরে বাঙালি পল্টনে সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন। যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানকারীদের সম্মানে ভারত সম্রাট পঞ্চম জর্জের রাজকীয় আমন্ত্রণে শান্তি দিবসে ১৯১৯ সালে বিলেত যান। রণদা প্রসাদ সাহার এই গৌরব ছিল বাঙালি জাতির গৌরব। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে অভিনন্দনে সিক্ত করেন।
যুদ্ধ শেষে ১৯২০ সালে রণদা প্রসাদ সাহাকে ব্রিটিশ সরকার রেলওয়ের টিকিট কালেক্টরের চাকরি দেয়। ১৯২০ সালেই তিনি বিয়ে করেন বালিয়াটির জমিদারকন্যা কিরণ বালা দেবীকে। ১৯২২ সালে প্রথম কন্যা বিজয়া সাহা জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩২ সালে রেলওয়ের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে কয়লার ব্যবসা শুরু করেন। এ বছর জন্মগ্রহণ করেন তাঁর দ্বিতীয় কন্যা জয়া সাহা। নৌযান ব্যবসা বেশ লাভজনক দেখে প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল রিভার সার্ভিস কোম্পানি। একসময় এই কোম্পানিতে ৭৫টি বড় বড় পণ্যবাহী জাহাজ ছিল। মূলত নৌপরিবহন ব্যবসার মাধ্যমেই রণদা প্রসাদ সাহা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ও আর পি সাহা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই আর পি সাহা একজন ধনী, সম্পদশালী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের প্রথম দিকে আর পি সাহা জর্জ অ্যান্ডারসন কোম্পানির সব জুট বেলিং ও প্রেসিং মেশিন, সব পাটের ব্যবসা, কোম্পানির প্রায় ১০০ একর জায়গাসহ যাবতীয় সম্পত্তি কিনে নেন। খানপুরে অবস্থিত অ্যান্ডারসন কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ই আজ কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়।
১৯৪৩ সালে সারা দেশে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আর পি সাহা ২৭৫টি লঙ্গরখানা খুলে টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জের অভুক্ত ও বিপন্ন মানুষের প্রায় আট মাস খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন। মানবসেবার এই স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতবর্ষের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়াভেল ১৯৪৪ সালের ৮ জুন রণদা প্রসাদ সাহাকে ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করেন। ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবি।
১৯৪৪ সালে বাংলার গভর্নরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত ব্রিটিশ সৈন্যদের সাহায্যে রেডক্রসকে আড়াই লাখ রুপি দান করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল’ এবং তাঁর সব সম্পত্তি ট্রাস্টের নামে দান করে দেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মায়ের নামে ‘কুমুদিনী জেনারেল হাসপাতাল’। সমাজে অধিকারবঞ্চিত, কুসংস্কার আচ্ছন্ন নারীদের স্বনির্ভর করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন প্রমাতামহীর নামে অবৈতনিক ও সম্পূর্ণ আবাসিক স্কুল ‘ভারতেশ্বরী হোমস’। মায়ের নামে টাঙ্গাইলে কুমুদিনী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বাবার নামে মানিকগঞ্জে দেবেন্দ্র কলেজ, মাগুরায় বন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ডিগ্রি কলেজ, বরিশালে দাঙ্গায় নিহত শহীদ আলতাব হোসেনের নামে শহীদ আলতাব হোসেন মেমোরিয়াল স্কুল, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর কলেজ, চৌমুহনী কলেজ, মির্জাপুরের এস কে পাইলট স্কুল, টাঙ্গাইলের মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ এবং মির্জাপুরের ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। যশোরে মাইকেল মধুসূদন কলেজ তাঁরই অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি অর্থায়ন করেছেন।
পাকিস্তানে ইস্কান্দার মির্জা হাসপাতাল এবং আইয়ুব খানের মায়ের নামে হাজেরা জেলায়ও একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরিতাপের বিষয়, পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা ১৯৭১ সালের ৭ মে কুমুদিনীর প্রধান কার্যালয় খানপুর থেকে রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর একমাত্র কর্মক্ষম পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তাঁর স্মৃতিবিজড়িত নারায়ণগঞ্জে রণদা প্রসাদ সাহার সুযোগ্য পৌত্র রাজীব প্রসাদ সাহা ২০১৩ সালে ‘রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। রণদা প্রসাদ সাহাকে ১৯৭৭ সালে মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ১৯৯১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরিজে রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে। রণদা প্রসাদ সাহার মৃত্যু নেই।
তিনি কালজয়ী এক মহামানব। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
লেখক: উপাচার্য, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়