গ্রীকদের আদর্শ প্লেটো-অ্যারিস্টােটল। বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বার্ট্রান্ড রাসেল বা সার্ত্রে। সাম্যবাদীদের আদর্শ মার্ক্স-লেনিন-মাও। মার্কিনীদের আদর্শ লিংকন-ওয়াশিংটন। কবিদের আদর্শ গ্যেটে-রবীন্দ্রনাথ-শেক্সপীয়ার।
রোমানদের আদর্শ জুলিয়াস সিজার; অথচ আত্মজয়ে অক্ষম এই বীর ধরাশায়ী হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রার মোহিনী শরবর্ষণে। চার্চিল ছিলেন কূটনৈতিক মিথ্যাচারে বিশ্ব ওস্তাদ। রুজভেল্টের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের শতকরা ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ ছিল ভুল।
নিষ্ঠুর লেনিনের আদর্শ ছিল নরহত্যা। প্রতিভাবান মার্কসও পাগলাটে ও বাস্তব জীবন বিচ্ছিন্ন। মাও সে তুং ছিলেন নির্বিচার বৈভব বিলাসী ও নির্বিবেক নারী নিপীড়ক। আব্রাহাম লিংকনকে তার স্ত্রী অতিশয় নগণ্য ও উপেক্ষার যোগ্য বলে জ্ঞান করতেন।
মহাত্মা গান্ধী মৃত্যুপথযাত্রী জননীকে ফেলে অন্য কক্ষে সস্ত্রীক নিশিযাপনের তুচ্ছ আরামটুকু পরিহার করতে পারেননি। বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন আত্মসংযমে অক্ষম ও রিরংসু। আইনস্টাইনের ছিল দায়িত্বহীনতা, আপন খেয়ালের হাতে স্বেচ্ছাসমর্পিত।
গ্যেটে ছিলেন পদ-লিপ্সু ও রাজশক্তি কেন্দ্রের নিকটবর্তী থাকায় চেষ্টারত। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন খুবই প্রচারব্যগ্র ও প্রজাপীড়ক। কলম্বাস ছিলেন মিথ্যাবাদী ও লোভী। কনফুসিয়াস ছিলেন চীনা সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ। বুদ্ধদেবের জীবনের রূঢ়তা থেকে পলায়নপরতা ছিল। সন্ত পল ছিলেন প্রশ্নাতীতভাবে চতুর।
পৃথিবীতে এতো এতো আদর্শের মধ্যে সর্বোত্তম মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা.। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম, অসাধারণ ও অনন্য মহামানব। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহামানব।
সূত্র : আবু জাফরের তুমি পথ প্রিয়তম নবী তুমিই পাথেয়
– আনিসুর রহমান এরশাদ