জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকৌশলী ভাতিজা কাজী কামরুজ্জামান পলাশের হাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক চাচা কাজী আলম (৬৫) খুনের ঘটনার মামলায় কহিনুর বেগম (৫৫) নামে এক আসামীগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুরনী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছেন পুলিশ। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা নিজ বাড়িতে ঢুকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে চাচাকে খুন করেছে বলে কাজী আলমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামে এ অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ভাতিজার হাতে খুনের শিকার কাজী আলমের ছেলে কাজী হারিজ জানান, তার চাচা কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বাড়ির সীমানাসহ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩০ মার্চ শনিবার বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত রবিবার (৩১ মার্চ) চাচাতো ভাই প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ বাড়িতে এসে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাবাকে হত্যার জন্য মরিচের গুড়া চোখে মুখে ও শরীরে ছিটিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে তিনি মারা যান। খুনের ঘটনায় ময়না তদন্তের পর গতকাল সোমবার বিকেলে কুরনী জালাল উদ্দিন স্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তার বাবা কাজী আলমের লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ভাতিজা কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে প্রধান আসামী করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন কাজী আলমের পুত্র কাজী হারিজ। মামলার বাদী কাজী হারিজ জানান, হত্যাকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান পলাশ আগারগাঁও এলজিইিডি অফিসে কর্মরত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাজী কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের রোকজনদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কাজী আলমের পরিবার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায় কাজী আলম খুনের ঘটনায় মামলার পর তদন্তকারী অফিসার নবী হোসেন অভিযান চালিয়ে কহিনুর বেগম নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা করেছে। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামন পলাশকে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছেন।